বিশেষ প্রতিবেদক :
১০ একরের বিশাল সরকারি পাহাড় কেটে দীর্ঘদিন ধরে প্লট আকারে বিক্রি করে আসছে শামসুদ্দিনের নেতৃত্বে একটি সিন্ডিকেট। ইতিমধ্যেই অধিকাংশ পাহাড় কেটে ৩০টিরও বেশি প্লট বিক্রি করা হয়েছে। এভাবে অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে চক্রটি। কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের দক্ষিণ মহুরীপাড়ার বিসিক এলাকায় সরকারি পাহাড় কেটে এধরণে ভয়ঙ্কর প্লট বাণিজ্য চলছে। অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার সকালে সেখানে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমান আদালতের ম্যাজিষ্ট্রেট সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. নাজিম উদ্দিন। তিনি পাহাড় কাটায় জড়িত শামসুদ্দিনকে হাতেনাতে আটক করে এক বছরের কারাদন্ডের আদেশ দেন। শামসুদ্দিন (৩৫) দক্ষিণ মহুরীপাড়ার বিসিক শিল্প এলাকার মৃত আশরাফুজ্জামানের পুত্র।

কক্সবাজার সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. নাজিম উদ্দিন বলেন, ‘ঝিলংজা মৌজার ২৩৭০৮ দাগের সরকারি নয়নাভিরাম পাহাড় কেটে প্লট বিক্রি করছে একটি চক্র। আর ওই চক্রের শামসুদ্দিন নামের এক ব্যক্তিকে হাতেনাতে আটক করা হয়। এরপর ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারিক কার্যক্রম শেষে শামসুদ্দিনকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘সেখানে বিশাল আকারের নয়নাভিরাম সরকারি পাহাড় কেটে প্লট আকারে বিক্রি চলছে। চক্রটির অন্যদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।’

এলাকাবাসী অভিযোগ করে জানান, দক্ষিণ মহুরীপাড়ার বিসিক শিল্প এলাকা সংলগ্ন এলাকার মৃত আশরাফুজ্জামানের পুত্র শামসুদ্দিনের  নেতৃত্বে একটি সংঘবদ্ধ চক্র দীর্ঘদিন ধরে সরকারি প্রায় ১০ একরের মতো পাহাড় দখল করে। তারা পাহাড়টির গাছ-পালা, নানা প্রকারের জীববৈচিত্র ধ্বংস করে গত দুই বছর ধরে পাহাড় কেটে প্লট তৈরী করে আসছে।

ইতিমধ্যেই সেখানে প্রায় ৩০টি প্লট বিক্রি করে অর্ধ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়েছে। গত দুই বছরে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, পরিবেশ অধিদপ্তর ও উপজেলা ভূমি প্রশাসন থেকে একাধিকবার অভিযান চালানো হয়। এরপরও পাহাড় কাটা ও প্লট বিক্রি করে টাকা হাতিয়ে নেয়া বন্ধ হয়নি। সর্বশেষ সোমবার সেখানে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমান আদালতের ম্যাজিষ্ট্রেট।